ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য মাসিক ভাড়া দেওয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার টাকায়।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাড়া হিসেবে মাসিক ১ হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত মোট ১২ হাজার টাকা মূল্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর আওতায় পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি দাখিলকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজ এর দরপত্রটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
এই নোটিশ জারির সাত দিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে জানানোর আহ্বান করা হয় ডিএমটিসি এর বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়াও কার্য সম্পাদন জামানত হিসেবে ৩ লাখ টাকা মাত্র আগামী ২৮ মার্চ জমা দিতে বলা হয়।
এদিকে ঢাকার বুকে ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট জায়গার বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য মাসিক ভাড়া মাত্র এক হাজার টাকার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে। তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, দরপত্র ডেকেও সাড়া না পেয়ে বাধ্য হয়ে ‘নামমাত্র মূল্যে’ ক্যানটিন ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, সারা বাংলাদেশে যে নিয়মে চলে, আমরাও সেভাবে দিয়েছি। আমরা দুই বছর ধরে চেষ্টা করছি, এই ক্যান্টিন দেওয়ার জন্য, কিন্তু পাচ্ছিলাম না। যেহেতু বাইরের কোনো লোক খাবে না। আমাদের লিমিটেড স্টাফ এতে কেউ আগ্রহ পাচ্ছে না। এটা দ্বিতীয়বার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর আবার এ বছর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা তো ভর্তুকির ক্যান্টিন, এটা মানুষের জন্য না। এখানে বাইরের লোকের কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে শুধু স্টাফরা খাবে এবং সেটাও ভর্তুকির ভিত্তিতে খাবে। এর জন্য দরপত্র দাখিলই করে না, আগ্রহ নাই। যেহেতু ভর্তুকি দিয়ে খাওয়াতে হবে, সেটা ভাড়ার সঙ্গে সমন্বয় হবে। এখানে এক হাজার টাকার যে কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে একটা প্যাকেজ থাকবে। সেটা সাতটা বা চারটা হতে পারে। ঢাকায় আরও এমন স্টাফ ক্যান্টিন আছে, সেটা যেভাবে পরিচালিত হয়—এটাও সেভাবে হবে।