অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় অন্যায়, অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও আগামীতে মূল্য সমন্বয়ের নামে প্রকারান্তরে নিয়মিত মূল্যবৃদ্ধির প্রচেষ্টার খবরে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তা জনগণের কাঁধে চাপানোর প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী ও সিপিবি’র অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান।
সভায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকার মুখে দাম কমানোর কথা বললেও যেসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম হোতা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ, দুর্নীতিমুক্তভাবে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও সারাদেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু ছাড়া এই সংকটের সমাধান করা যাবে না। অথচ সরকার সে পথে হাঁটছে না। সভায় বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আগামী পহেলা মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এ ছাড়া এ সময় জেলা সফর অব্যাহত রাখতে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র নেতাকে বহিষ্কারের খবরে তীব্র ক্ষোভ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকার ও প্রশাসন চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নানা ধরনের অপকৌশল নিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ছাত্রজনকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
নেতৃবৃন্দ নিঃস্বার্থভাবে এসব ছাত্রনেতাদের বহিষ্কারাদেশ দাবি জানান।