Search

এই বিভাগের আরো খবর

দ্রব্যমূল্যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মদদ দিচ্ছে বিএনপি : কাদের

দেশপ্রান্তর:

দ্রব্যমূল্যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে মজুতদার ও সিন্ডিকেটকে বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।

এ সময় কাদের বলেন, বিএনপি সিন্ডিকেট লালন-পালন করেছে, মজুতদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে- এ কথা বললে কি ভুল হবে? যারা করছে, তারা বিএনপির পুরনো সিন্ডিকেট।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার।

আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে- এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন অসন্তোষ সৃষ্টি করছে, তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্যুতে যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণে সমন্বয় করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা যদি বজায় রাখতে চাই, তাহলে সমন্বয়টা আমাদের করতে হবে।

ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডি এবং সেখানে বিদ্যুতের দাম পাঁচ বছরে তারা নয় বার বাড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ২৭ মেগাওয়াটে উন্নিত হয়েছে।

বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং এই আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যই হবে- বিএনপির এক নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে কত ভয়ংকর ভূমিকায় বিএনপি হতে পারে, সেটা তারা করে দেখিয়েছে বারে বারে। জনগণ সম্পৃক্ত ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

কাদের বলেন, ভুল ও নেতিবাচক রাজনীতি করে যাচ্ছে বিএনপি। তারা একসময় নিশ্চয়ই স্বীকার করবে আন্দোলনে তাদের ভুল আছে। নির্বাচনে না আসাটা বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল। এখন তারা উপলব্ধি করবে।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলগতভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূলে নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচন করবে বলে জানান কাদের। বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দলটির মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে। আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির অনেকে নির্বাচন করবে। দলীয়ভাবে যাই করুক, যারা তৃণমূলে আছেন, তারা তাদের অস্তিত্বের বিষয় আছে। তৃণমূলে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্ন আছে। আমার ধারণা বিএনপির অনেকেই অংশ নিবে। দলগতভাবে তারা যাই বলুক কেন।

বর্তমানে অর্থনীতিতে সংকট আছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ জন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্ব যুদ্ধ বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে, তাতে অর্থনীতির ওপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার নির্বাচনে যত বেশি বিদেশি খেলা হয়েছে, তখনো ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন কেন আসবে? বন্ধু বন্ধুর মতো থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়। পারস্পারিক সহযোগিতা, সমন্বয় এখন খুবই জরুরি। ডিপ্লোমেসি উইথ কমনসেন্স খুবই জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »