Search

এই বিভাগের আরো খবর

সিনেমা নির্মাণে খরচ ১ কোটি ২০ লাখ, ফেরত এসেছে কত?

দেশপ্রান্তর:

নতুন বছরের ১৯ জানুয়ারি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় নতুন সিনেমা ‘শেষ বাজি’। সিনেমার প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও শিরিন শিলা। এই সিনেমার সঙ্গে মুক্তি পায় পরী মনি অভিনীত ‘কাগজের বউ’ ও আমদানি করা মোশাররফ করিম অভিনীত ভারতীয় ছবি ‘হুব্বা’। একই দিনে তিন সিনেমা মুক্তি ও বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রতিবাদে শিল্পী সমিতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেষ বাজি সিনেমার অভিনেতা সাইমন সাদিক।

সিনেমা মুক্তির মাসখানেক পর কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা হয় ছবিটির প্রযোজক সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলের সঙ্গে। তিনি জানান, শেষ বাজি সিনেমাটি নির্মাণে তার খরচ হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। সিনেমার মুক্তির সময়ও প্রচার, পোস্টারিং এবং আনুষঙ্গিক বাবদ আরো ১০ লাখের বেশি খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে এক কোটি ৩০ লাখের বেশি খরচ করেছেন শেষ বাজির পেছনে।

এত টাকা খরচের পর সিনেমা থেকে উঠে এলো কত?

তিনি বলেন, ‘সিনেমা হল থেকে টাকা আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। উল্টো তাদের কিছু টাকা দিয়ে সিনেমাটি চালাতে হয়েছে। তবে মাল্টিপ্লেক্স থেকে কিছু টাকা হয়তো আসতে পারে। কিন্তু সেটা কী পরিমাণ আসবে জানি না।

এ ছাড়া টেলিভিশন ও ওটিটিতে বিক্রির চেষ্টা করছি। আলাপ হচ্ছে। সব মিলিয়ে হয়তো ২০ লাখ টাকার মতো আসতে পারে।’
এদিকে সিনেমা নির্মাণের খরচ বেশি হয়েছে বলে মনে করেন এই প্রযোজক। বলেন, ‘এটা আমার প্রথম সিনেমা।

তাই অনেক কিছুই বুঝিনি। তবে যেটা বুঝেছি সেটা হলো, যেকোনো সিনেমায় পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা আন্তরিক হলে খরচ অনেক কম হয়। কিন্তু আমার বেলায় সে রকম কিছু হয়নি। তাই এত বেশি খরচ হয়েছে।’

ছবিটি থেকে টাকা কম উঠে আসার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিনেমার প্রচারের জন্য শিল্পীদের সহযোগিতা কম পেয়েছি। তাদের হলে হলে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সে রকমভাবে কেউ যাননি। তাই চাইলেও সিনেমাটি দেখতে সেভাবে দর্শক আসেনি।’

সিনেমা প্রযোজনায় কেন এসেছেন জানতে চাইলে সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি একটু সংস্কৃতিমনা মানুষ। এ ছাড়া আমার কনস্ট্রাকশন ব্যবসা আছে। ভেবেছিলাম এখানে বিনিয়োগ করি। কিন্তু পুরাই লস খেলাম।’

সোহেল বলেন, ‘শেষ বাজি সিনেমার পরিচালক শুরুতে ৪২ লাখ টাকার বাজেট নিয়ে এসেছিলেন। তখন রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শুটিংয়ে নেমে তিন-চারটা স্পটে শুটিং করতে গিয়েই দেখি এই টাকা শেষ। পরে এর তিনগুণ খরচ করে সিনেমাটা শেষ করতে হয়েছে। আসলে আপনি যখন একটা কাজে নেমে পড়বেন তখন তো চাইলেও শেষ না করে আসতে পারবেন না। এই সিনেমাটা করতে গিয়ে আমার অন্য ব্যবসার ক্ষতি করতে হয়েছে।’

এরপর আর সিনেমা প্রযোজনা করবেন কি না জানতে চাইলে এই প্রযোজক বলেন, ‘এখনো ভাবছি না এসব। তবে করলেও খুব ভেবে-চিন্তে করব।’

উল্লেখ্য, শেষ বাজি সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মেহেদি হাসান। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক, শিরিন শিলা, বড়দা মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, সাবেরী আলম, সিলভি প্রমুখ। প্রযোজক জানান, মানুষের জীবনে জুয়া খেলার নেতিবাচক প্রভাবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে থ্রিলার ঘরানার সিনেমা ‘শেষ বাজি’।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »