প্রথমেই আসবে পানির কথা। আমাদের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পানি থাকে। তাইতো পানির অপর নাম জীবন। কিডনির ক্ষতিকর উপাদানগুলো বের করতে এই পানি সবচাইতে কার্যকর।
তাই আমাদের উচিত দৈনিক আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করা। তবে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুয়াযী পানি পান করতে হবে। কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। তাই শরীরের সুস্থতা রক্ষায় কিডনির বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
এবার চলুন পানি ছাড়াও আরো কিছু পানীয়র কথা জেনে নিই। তবে খাদ্যতালিকায় কিছু যুক্ত করার বা বাদ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
কম চর্বিযুক্ত দুধ
দুধ হলো সুষম খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। উপকারী ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর।
লো ফ্যাট বা কম চর্বি সমৃদ্ধ দুধ পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কফি
কফিতে রয়েছে কিছু উপকারী উদ্ভিজ্জ উপাদান। এই ধরনের উপাদান কিডনির জন্য বেশ উপকারী। কিডনিরর প্রদাহ প্রশমিত করতেও বেশ কার্যকর এই পানীয়। নিয়মিত কফি পান করলে ক্রনিক কিডনী রোগের ঝুঁকি কমে আসতে পারে।
গ্রিন-টি
গ্রিন-টি এর গুণাগুণ সারা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। পুষ্টিবিদদের বেশ পছন্দ এই পাণীয়তে রয়েছে ক্যাটেচিনস নামক উপাদান। এটি কিডনীতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যা থেকে শুরু করে যাবতীয় সমস্যার ঝুঁকি কমাতে কার্যকর।
ক্যানবেরি জুস
পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড সমৃদ্ধ ক্যানবেরি জুস ইউটিআই প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার কিডনীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এটি সহায়ক। বাজারে আজকাল বিভিন্ন কোম্পানির ক্যানবেরি জুস পাওয়া যায়। চাইলে যুক্ত করতে পারেন নিয়মিত খাদ্যতালিকায়।