মহাবিশ্বে থাকা সবচেয়ে উজ্জ্বল কোয়াসারের (পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত নবীন গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ) সন্ধান পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কোয়াসারটির কেন্দ্রে একটি কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে, যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোয়াসারটি আমাদের সূর্যের চেয়ে ৫০০ ট্রিলিয়ন (১ লাখ কোটি = ১ ট্রিলিয়ন) গুণ বেশি উজ্জ্বল। শুধু তা–ই নয়, কোয়াসারটির কৃষ্ণগহ্বর আমাদের সূর্যের চেয়ে ১ হাজার ৭০০ গুণ বড় বলেও দাবি করেন তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারের কথা নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কোয়াসারটি পৃথিবী থেকে ১ হাজার ২০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। মহাবিশ্বের শুরুর দিকে তৈরি এই কোয়াসারকে পৃথিবী থেকে দেখতে নিছক একটি বিন্দুর মতো মনে হয়। কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে ঘূর্ণমান চাকতি হিসেবে আলোকিত ঘূর্ণমান গ্যাসের পাশাপাশি নক্ষত্রের বিভিন্ন পদার্থ রয়েছে কোয়াসারটিতে। ফলে দূর থেকে গ্যালাক্সিটিকে মহাজাগতিক হারিকেনের মতো দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে প্রথম কোয়াসারের খোঁজ পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয়মভাদা নটরাজন বলেন, ইউরোপীয় সাউদার্ন অবজারভেটরি ১৯৮০ সালে আকাশ জরিপের সময় জে০৫২৯-৪৩৫১ নামের একটি বস্তুর সন্ধান পায়। প্রথমে সেটিকে তারা বলে চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও চিলির আতাকামা মরুভূমি থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে কোয়াসারটি আবার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নতুন পর্যবেক্ষণ ও কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কোয়াসারটি বছরে ৩৭০টি সূর্যের সমান শক্তি শুষে ফেলছে। দেখতে তারার মতো হলেও কোয়াসারটি থেকে রেডিও তরঙ্গ নির্গত হয়।
সূত্র: স্মিথসোনিয়ান ম্যাগ