রোজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিন এবং সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আপিল বিভাগে। সরকারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি সাইফুল আলম। অপর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ।
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে চেম্বার আদালত হস্তক্ষেপ না করায় মঙ্গলবার রোজার প্রথম দিন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ।
রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
যানজট, শিশুদের মধ্যে রোজা রাখার চর্চা গড়ে তোলা, রোজা রেখে ক্লাস করা কষ্টের ইত্যাদি যুক্তিতে প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শফিউর রহমান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।
শুনানির পর হাইকোর্ট সরকারের সিদ্ধান্ত দুই মাস স্থগিত করে দেন। সঙ্গে দুটি বিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।
শুনানিতে স্কুল খোলা রাখা সংক্রান্ত দুটি বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন বলেন, এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। হাইকোর্ট এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
জবাবে রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ বলেন, স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানানোর পর সারা দেশে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ হচ্ছে। ৮-১০ দিন স্কুল খোলা রেখে কী এমন আসে-যাবে? তখন আদালত দুই পক্ষকে থামিয়ে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে বলেন, কাল (মঙ্গলবার) সাড়ে ১১টায় শুনানি।