পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি হয়েছেন আসিফা ভুট্টো। তিনি নব-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং মরহুম বেনজির ভুট্টোর সবচেয়ে ছোট মেয়ে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) তথ্য সম্পাদক ফয়সাল করিম কুন্দি সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুন্দ জিও নিউজকে বলেন, ‘আসিফা ভুট্টোকে ফার্স্ট লেডি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারি প্রজ্ঞাপন শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
জারদারি রোববার পাকিস্তানের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি এর এক দিন আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
শপথ গ্রহণের সময়ই খবর প্রচারিত হয়ে গিয়েছিল যে জারদারি তার মেয়ে আসিফাকে ফার্স্ট লেডির মর্যাদা দিতে যাচ্ছেন।
রোববার জারদারির বড় মেয়ে বখতিওয়ার ভুট্টো জারদারি এক্স পোস্টে যে ছবি পোস্ট করেন, তাতে আসিফাকে তার বাবার সাথে দেখা যায়। এতে লেখা হয় : সে সবসময় রাষ্ট্রপতি আসিফ জারদারির সাথে ছিল। আদালতে শুনানির সময় থেকে কারাগার থেকে মুক্তির প্রতিটি সময় সে পাশে ছিল। এখন পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি হিসেবে পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, আসিফ জারদারির স্ত্রী বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালে এক হামলায় নিহত হন। জারদারি আর বিয়ে করেননি। আর ২০০৮-২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে ফার্স্ট লেডির পদটি শূন্য ছিল।
ওই সময় আসিফা ছিলেন কিশোরী। বর্তমানে তার বয়স ৩১ বছর।
আসিফা এবারের জাতীয় নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ভাই বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারিকে সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে স্ত্রী ছাড়া অন্য কাউকে ফার্স্ট লেডি করার ইতিহাস নতুন কিছু নয়। সাবেক সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার মেয়ে নাসিম আওরঙ্গজেবকে ফার্স্ট লেডি ঘোষণা করেন।
অধিকন্তু, মাদার-ই-মিল্লাত ফাতিমা জিন্নাহও অনেক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পাশে থাকতেন। জিন্নাহও ছিলেন বিপত্নীক।
তাছাড়া অন্যান্য দেশেও মেয়ে, বোন এমনকি ভাইয়ের মেয়েদেরও ফার্স্ট লেডি হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন (তিনি ছিলেন বিপত্নীক) ফার্স্ট লেডি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তার ভাইয়ের মেয়ে এমিলি ডোনেলসনকে অনুরোধ করেন। এছাড়া চেস্টার আর্থার এবং গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডও তাদের বোনদের ফার্স্ট লেডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
সূত্র : জিও নিউজ