| দেশ প্রান্তর

Search

এই বিভাগের আরো খবর

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ট্যাব আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ

দেশপ্রান্তর:

পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি থানার ৭ নং গুয়ারেখা ইউনিয়নে কালীবাড়ি নামক স্থানে অবস্থিত , গুয়ারেখা ভরতকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে, অষ্টম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ায় সরকারের দেওয়া উপহার মোবাইল ট্যাব আত্মসাৎসহ শিক্ষার্থীদের নামের বানান ইচ্ছামতো বোর্ডের লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

আনিকা মাহমুদ সেজেতি ঢাকায় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পায়ন ,২০২০ সালে করোনার শুরুতেই তারা সহ পরিবারে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গেলে ওই স্কুলের শিক্ষকরা এসে আনিকা মাহমুদ সেজতীর ভালো রেজাল্ট করা দেখে তাদের স্কুলে ভর্তি করার জন্য তার গার্ডিয়ান দের কাছে বিভিন্নভাবে অনুরোধ করে। একপর্যায়ে ওই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয় আনিকা মাহমুদ সেজুতি,পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে রোল নং  হয় ১, সপ্তম শ্রেণীতে  পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে  রোল নং হয় ১,  অষ্টম শ্রেণীতে ও পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে  রোল নং হয় ১ ,।

 অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন সময় শিক্ষা বোর্ডের নাম রেজিস্ট্রেশন করার কথা বলে সকল শিক্ষার্থীদের কাছে জন্ম নিবন্ধন চান ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সকল শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধন দিলেও জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থীর নাম আসেনি, সেগুলো শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে দেখে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে প্রধান শিক্ষক তাদেরকে ধমক দিয়ে বলেন,তোমাদের জন্ম নিবন্ধনে তোমাদের নাম ভুল লিখেছ আমি যেভাবে লিখে দিয়েছি এটাই শুদ্ধ বানান হবে আর এভাবেই থাকবে বলেন তিনি।

তার বাবা অষ্টম শ্রেণীর সার্টিফিকেট তুলে দেখতে পান, শিক্ষার্থীর নিজের নামের বানানেও ভুল এবং তার বাবার নামের বানানেও ভুল। এগুলো দেখে তার বাবা ওই প্রধান শিক্ষককে নামের বানান গুলো সংশোধন করে দেওয়ার জন্য বলেন, এক বছর যাবৎ তাকে বললে ও অনুরোধ করলে তিনি বিভিন্ন রকমের তাল বাহানা করে এড়িয়ে যাচ্ছে । প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে তার বাবা ফোন দিয়ে নামের বানান গুলো সংশোধন করতে বললে ওই শিক্ষার্থীর বাবার  সাথে প্রধান শিক্ষক  খারাপ ব্যবহার করে মোবাইল সংযোগ কেটে দেয় এবং  বলে আর কখনো তার ফোনে ফোন দিতে নিষেধ করে।

আনিকা মাহমুদ সেজোতি গুয়ারেখা বরাত কাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে অষ্টম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে রোল নং হয় ১,। ওই শিক্ষার্থীর বাবা আনিছ মাহমুদ লিমন ঢাকায় সাংবাদিকতা করার সুবাদে ২০২৩  সালের ১ জানুয়ারি  তারা আবার পুনরায় সহ পরিবারে ঢাকায় চলে আসেন এবং তার সাবেক স্কুল,আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন।

২০২৩ সালের পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়ে  ১, ২, ৩ এর মধ্যে রয়েছে তাদেরকে সরকারের তরফ থেকে উপহারস্বরূপ , ল্যাপটপ ও মোবাইল ট্যাব দেওয়া হয়েছে। সেই মোবাইল ট্যাব আনিকা মাহমুদ সেজোতিকে না দিয়ে প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার মন্ডল নিজেই আত্মসাৎ করে। এ বিষয়ে ওই স্কুলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গৌতমকে জানালে তিনি বলেন এটা তিনি সমাধান করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি, আরো বলেন এ ব্যাপারে তিনি কাউকে কিছু বলতে এবং কিছু করতে নিষেধ করেন। ঐ মোবাইল ট্যাপ প্রধান শিক্ষক  আত্মসাৎ করার ব্যাপারে এক বছর অতিক্রম হলেও তার কোন সুরাহা করেনি ওই স্কুল কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গৌতম, এ ব্যাপারে একাধিকবার তাকে ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা সাংবাদিক আনিছ মাহমুদ লিমন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব আব্দুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানও উপজেলা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »