রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো বাংলাদেশকে। তবে যেভাবে এগোচ্ছে বাংলাদেশের ইনিংস, তাতে জয় এখন নিছক কল্পনা বাদে আর কিছুই নয়! ৪৭ রানেই নেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট। ফলে ৫১১ রানের পাহাড় টপকানো প্রায় অসম্ভব ।
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস শতক হাঁকালেও ২৮০ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৮৮ রানেই। ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে লঙ্কানরা।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও শেষটা রাঙান সেই ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু। যেন প্রথম ইনিংসেরই পুনরাবৃত্তি করেন, দুজনে ফের হাঁকান শতক। সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। লিড বেড়ে দাঁড়ায় ৫১০ রান।
৫১১ রানের রেকর্ড সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে যেমন শুরু প্রয়োজন ছিল, তা পারেনি বাংলাদেশ। ৯ ওভারে মাত্র ৩৭ রানে হারায় ৫ উইকেট। দিনশেষ করে ৫ উইকেটে ৪৭ রানে। এখনো জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪৬৪ রান। হাতে ৫ উইকেট।
রোববার সকালে ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। দিনের শুরুতেই হারায় বিশ্ব ফার্নান্দোর উইকেটও। ১২৬ রানে তখন শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট। ম্যাচে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশ দলের দ্রুত উইকেট নিতে হতো, সেই চেষ্টাতেই ছিল বোলাররা।
তবে সেই চেষ্টার ফল যখন এলো, শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ তখন তিন শ’ ছুঁই ছুঁই। ২৯৯ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরেন মেহেদী মিরাজের শিকার হয়ে। আউট হবার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারে নিজের ১৩তম টেস্ট শতক। করেন ১৭৯ বলে ১০৮ রান। ভাঙে কামিন্দু মেন্ডিসের সাথে তার ১৭৩ রানের যুগলবন্দী।
প্রথম ইনিংসে টেস্টে প্রথম শতকের দেখা পাওয়া কামিন্দু দ্বিতীয় শতক পেয়ে যান দ্বিতীয় ইনিংসেই। প্রতাভ জয়সুরিয়ার সাথে ৬৭ রান যোগ করার পথে গড়েন এই কীর্তি। তবে এখানেই থামেননি, শেষ পর্যন্ত ইনিংসটাকে রূপ দেন ক্যারিয়ার সেরা ১৬৪ রানে। মেহেদী মিরাজ নেন ৪ উইকেট।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। কোনো রান যোগ হবার আগেই ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৪ বলে করেন ০। দলীয় সংগ্রহ দুই অংক ছোঁয়ার আগে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৫ বলে ৬ করে ক্যাচ দেন করুনারত্নেকে।
জাকির হাসান চেষ্টা করেছিলেন পাল্টা আক্রমণের। তবে তাকে ১৯ রানেই থামিয়ে দেন লাহিরু কুমারা। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ১ রান তুলতেই হারায় আরো ২ উইকেট। শাহাদাত দিপু ৩ বলে ০ ও লিটন দাস ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। দুজনকেই ফেরান বিশ্ব।
দিনশেষে তাইজুল ইসলাম ৬ ও মুমিনুল হক ব্যাট করছেন ৭ রানে।