Search

এই বিভাগের আরো খবর

শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল হস্তান্তর ছয় মাস পেছাল

দেশপ্রান্তর:

কাজ শেষ না হওয়ায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল হস্তান্তরের সময় ছয় মাস পিছিয়ে গেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আগামী সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় টার্মিনাল বুঝে নেয়ার কথা রয়েছে সিভিল এভিয়েশনের।

শনিবার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ৫ শতাংশ কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় ছয় মাস পিছিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে সিভিল এভিয়েশনের কাছে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল হস্তান্তর করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে কোনো ব্যয় বাড়বে না।

তৃতীয় টার্মিনালের হস্তান্তরের কার্যক্রম শনিবার (৬ এপ্রিল) সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এই অবকাঠামো নির্মাণে ৪ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। সেপ্টেম্বরে সিভিল এভিয়েশন দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর পুরাতন টার্মিনালের অনেক কার্যক্রম তৃতীয় টার্মিনালে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হবে। এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় কাজ করা বোর্ড, তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার সার্বিক বিষয় তুলে ধরে রিপোর্ট করবে সিভিল এভিয়েশনকে। তারপরই জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সঙ্গে পরিচালনার বিষয়ে আরেকটি চুক্তি হবে।

২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়। সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা আর জাইকার অর্থায়নে শুরু হয় প্রকল্পের কার্যক্রম।

নান্দনিক তৃতীয় টার্মিনালে ডাবল এন্ট্রি ব্রিজসহ ১২টি বোর্ডিং গেট শুরুতে চালু হবে। পরবর্তীতে স্থাপন করা হবে আরও ১৪টি বোর্ডিং সেতু।

৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৃতীয় টার্মিনালে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের একটি ফ্লোর স্পেস, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন ও ৩টি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বমানের এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে। এছাড়া ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা থাকছে ১ হাজার ৪৪টি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »