মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আগে দলের আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
রিজভী বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিএনপি নেতারা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন। এরপর সরকারের ‘আজ্ঞাবহ আদালত’ তাদের কারাগারে পাঠান।
তিনি বলেন, ‘বাকশাল-২ (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) সরকারের জুলুম-নির্যাতনে জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। দেশে সভা-সমাবেশ করার সব সুযোগ-সুবিধা শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই ভোগ করছে। এখানে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর এটা করার অধিকার নেই।’
তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে কলুষিত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাস তার সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূলনীতিকে কবর দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশকে একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ অবস্থায় মানুষের মন থেকে ঈদের আনন্দের অনুভূতি উধাও হয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে এবারের ঈদ মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরানন্দের।
তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বত্র নির্যাতন, ডাকাতি হচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ জুলুম-নির্যাতন, গুম, হত্যা, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দায়ের অব্যাহত রেখেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সূত্র : ইউএনবি