সমস্যার যেন অন্ত নেই ঢাকার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির। কাজ সম্পন্ন না করে অস্বাস্থ্যকর, অসহনীয় পরিবেশ স্থানীয় অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স কো অপারেটিভ সোসাইটির এহেন ভোগান্তি রোধে গতকাল শনিবার দুপুরে মিরপুর ১৩ তে বিজয় রাকিন সিটির সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
বিগত ৮ জুন ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির ১৬.০৩ একর জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের চুক্তির মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হলেও হস্তান্তরের শর্ত অনুযায়ী সুবিধাদি অনেকাংশের বাস্তবায়ন আজো আলোর মুখ দেখেনি। বারংবার তাগাদা দেওয়ার পরেও সমস্যা সমাধানে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে জানান মানববন্ধনে আসা ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
এসব বিষয়ে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান রিহাবে লিখিতভাবে অভিযোগ করলেও সুফল মেলেনি বসবাসরত পরিবারগুলোর।
এছাড়াও ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রয়ের শতকোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
গত মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন সভাপতি মোঃ মোর্শেদুল আলম জানান অতি নিম্নমানের কাজের কারনে আমাদের আবাসস্থল আজ বিভীষিকাময় হয়ে গেছে। সিসিটিভি, লিফট, সিড়ি, মসজিদ, স্কুল, ফায়ার সিস্টেম, সাব-স্টেশন, জেনারেটর স্থাপন, ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রেশনের বাস্তবায়ন ও গচ্ছিত ১০৬৭ টি ফ্লাটের অনুকূলে ৫,৩৩,০০,০০০/ পাঁচ কোটি তেত্রিশ লাখ টাকা সোসাইটি তহবিলে আজো জমা পড়েনি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ঝুঁকিপূর্ণ অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থার কথা ছিল, এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বাস্তবায়নে আমাদের যে সকল মহান উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি তার কোনটাই বাস্তবায়নে নেই পদক্ষেপ। অতি দ্রুত চুক্তিপত্রের শর্ত সমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা করতে কতৃপক্ষের বাস্তবায়ন চেয়েছেন তারা।
দীর্ঘ ১৪ বছর নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী বসবসরত পরিবার ছাড়াও বিজয় রাকিন সিটি অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স কো- অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের আনছার আলী খান, মোঃ বেলায়েত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন নেসা মেরি, রিপাসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেয় মানববন্ধনে। এ বিষয়ে কথা বলতে ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান বিজয় রাকিন সিটির অফিসে গেলেও পাওয়া যায়নি কোন কর্মকর্তাকে।