বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেছেন,গত ১৭ টা বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতাকালীন সময়ে তারা মশা নিধনে যে কীটনাশক ব্যবহার করেছে,তা ভালো মানের ছিল না, সঠিক উপায়ে কীটনাশক দিতে পারেনি তারা, সেখানে প্রচুর পরিমানে ভেজাল ছিল, তার কারনে আমরা মশার উপদ্রব থেকে কখনও বাঁচতে পারিনি। এরফলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বহু সাধারণ মানুষ তখন মারা গেছে, বর্তমানেও অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মারা যাচ্ছে।
আমিনুল হক অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা করে বলেন,বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে কীটনাশকগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে,যাতে ঔষধের গুণগত মান ঠিক রেখে ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি পাড়া মহল্লায় যেসব জায়গায় কীটনাশক স্পে (ছিটানো) করা দরকার-তা সঠিক নিয়মে তারা (অন্তবর্তীকালীন সরকার) কাজটি করবে।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজধানী পল্লবীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাউনিয়াবাদে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু চিকিৎসা ও প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে আমিনুল হক তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার দেশের প্রতিটি জায়গাতেই দেশের জনগণকে বঞ্চিত করে তারা তাদের নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে ব্যস্ত ছিল,পক্ষান্তরে বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছে, দেশে যখনই কোন মহামারী, কোন দূর্যোগ, কোন বন্যা, করোনাকালীন কঠিন সময়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বদা জনগণের পাশে দাড়িয়েছে। কারন বিএনপি জনগণের দল,জনগণের পাশে থাকাই বিএনপির লক্ষ্য।
আমিনুল হক বলেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের জন্য যদি রক্তের প্রয়োজন হয়,সেই রক্তের জন্য ইতিমধ্যে আমাদের দল- বিএনপির পক্ষ থেকে একটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে এবং এতে হট লাইন ও নাম্বার দেয়া রয়েছে। ঢাকা মহানগরে আমাদের কাছে কয়েকশত রক্ত দানের ডোনার রয়েছে, যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কারও রক্তের প্রয়োজন পরে, তাহলে আমাদের কাছে তাৎক্ষণিক ফোন করা হলে সেই রক্তের ব্যবস্হা আমরা করে দিবো এবং সাথে সাথে তাদের কাছে রক্ত পৌঁছে যাবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা
মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু,স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী,মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লাইলী বেগম,ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন,পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান,আনিছুর রহমান,যুবদল পল্লবী থানার সভাপতি নূর সালাম,সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া,রুপনগর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান রনি,পল্লবী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল খন্দকার, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাদশা মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম চান, বিএনপিনেতা নুরুল মুকতাদির দিদার,জাসাস নেতা এ্যাড. লিটন,মহিলাদল পল্লবী থানা কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দা দিলারা পলি, ছাত্রদল নেতা মোঃ ইব্রাহিম প্রমুখ।