ভিটামিন ই শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। এই ভিটামিন হাড়ের যত্ন নেয়, বন্ধ্যত্বের সমস্যা রোধ করে এমনকী বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যাও প্রতিরোধ করতে পারে। ত্বকের ও চুলের যত্নে অনেকেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে, কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে তা ব্যবহার করেন। অনেকে আবার ভিটামিনে ই’র ঘাটতি পূরণে এই ভিটামিনের ক্যাপসুল খান। চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখতে পারেন যা ভিটামিন ই’র ঘাটতি পূরণ করে।
চিনাবাদাম: সন্ধ্যায় ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে চিনাবাদাম খেতে পারেন। হালকা নাশতা হিসেবে চিনাবাদাম একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ব্রকোলি: বাজারে আজকাল সারাবছরই ব্রকলি পাওয়া যায়। আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটমিন সি, ই এবং প্রবায়োটিক ফাইবারে সমৃদ্ধ ব্রকোলি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই সবজি রাখা ভীষণ স্বাস্থ্যকর। সারাদে কিংবা সবজি বানিয়েও ব্রকোলি খাওয়া যেতে পারে।
পালং শাক: পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে এই শাক। এ ছাড়া শারীরিক দুর্বলতা কমাতে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও খাদ্যতালিকায় এই শাক রাখা জরুরি।
অ্যাভোকাডো: ভিটামিন ই-র পাশাপাশি অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং পটাশিয়াম। এই সব উপাদান ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এ ছাড়া হৃৎপিণ্ড রাখতে, স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখতে এই ফল নিয়ম করে খেতেই পারেন।
কাঠবাদাম: সকালে উঠে প্রতিদিন একমুঠো ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর। শুধু ভিটামিন ই নয়, কাঠবাদামে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে। তা ছাড়া, কাঠবাদামে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্য ভালো। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কাঠবাদামের উপর ভরসা করতে পারেন।