যেকোনো মূল্যে অনিয়ম, দুর্নীতি, দালালমুক্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চান বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দালালদের কারণে অতীতে দুর্নাম হয়েছে। ভবিষ্যতেও হোক তা আমি চাই না। সেই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে মিরপুর বিআরটিএ নানা রকম দালাল ও প্রতারক চক্রের দেখা মেলে। এতে সাধারন জনগনের চরম ভোগান্তি পরতে হয় গাড়ি সংক্রান্ত কোন কাজে গেলে, সাধু বাবাদের সাথে দেখা না করলে কোন ভাবেই বিআরটিএর কাজ সম্পর্ন হয়না এমন চিত্র এবং নজির অনেক প্রমাণ দেখা যাচ্ছে। চরম এই দূর্ভোগ চলে আসছে বহু দিন ধরে। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর সদ্য আনসার কমান্ডার হাশেম অল্প কিছু দিন হলো মিরপুর বিআরটিএ এর নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন করছে। কমান্ডার আবুল হাশেম এর একটাই কথা দালাল মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু দালালমুক্ত করতে গিয়ে সে বিতর্কিত পড়ে যান অথচ কোথায় আছে না ,যে এটা কি বাপের কয়লা করার সম্পত্তি যে বললেই সব কিছু হয়ে যায়। কি আর করার আছে কিছু কুচক্র মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মনগড়া নিউজ প্রকাশ করেন।
গত ১৫ ফেব্রয়ারি ২০২৪ এবং ১০ মার্চ ২৪ইং তারিখে কে বা কারা কমান্ডার হাশেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং ভূয়া অভিযোগ করে। যেখানে বলা হয়েছে রাজধানীর মিরপুর এলাকার বিআরটিএ বর্তমান আনসার কমান্ডার মাত্র ১৫ দিনে কর্মরত অবস্থায় এমন কোন দুর্নীতি নেই যে তিনি করছেন না। মিরপুর বিআরটিএ কেহ ড্রাইভিং লাইসেন্স,গাড়ির কাগজ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম করতে গেলে আনসার কমান্ডার হাশেমের সাথে যোগাযোগ করে সেবা নিতে হয়। কমান্ডার হাশেমের সাথে যদি যোগাযোগ না করে তাহলে সেভাবে প্রত্যাশীদের ভোগান্তির শেষ নেই। উপ-পরিচালকের দুর্নীতির ও টাকা কালেকশনের একমাত্র এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন কমান্ডার হাশেম।
অল্প কয়েক দিনের ভিতরে তার সকল দুর্নীতির কার্যক্রম সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষাধিক টাকা এই নিয়ে বিভিন্ন নিউজ অনলাইন পত্রিকা হেডলাইনে আসেন। উল্লেখ্য বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা তথ্য জানতে চাইলে তাদেরকে বলেন আপনারা যা পারেন লিখেন এতে আমার কিছু আসে যায় না। সেবা প্রত্যাশীদের অভিযোগ এই কমান্ডার হাশিমের সাথে যোগাযোগ না করলে কোন প্রকারে কোন সেবা পাচ্ছিনা। সুতরাং আমরা তাই অনতিবিলম্বে তাকে এখান থেকে প্রত্যাহার করা সহ তার বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি উদ্বোধন কর্মকর্তার কাছে। আসলে কতটি সত্য এবং কতটি মিথ্যা এই নিয়ে তাদের ভিতরে চলছে হৈচৈ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপরের সকল কথা মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর আসলে কমান্ডার হাশেমের সাথে এই ধরনের কোন কর্মকান্ডের সাথে মিল পাওয়া যায়নি। তাই এমন মিথ্যা ও অবঞ্চিত লেখায় ও সংবাদকর্মীদের নাম ব্যবহার করে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। কিরে মিরপুর বি আর টি আনসার কমান্ড আমাদের স্যারকে নিয়ে যে লেখা লিখেছি এ নিয়ে আমরা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয় নিয়ে আনসার কমান্ডার হাশেমের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও করব কোন অন্যায় দেখলে আমি ছাড় দেবো না তাতে যেই হোক না কেন। সাধারন জনগণের এসে যাতে নিজেদের কাজ নিজেরাই করে নিতে পারে সে ব্যাপারে আমরা প্রতিটা আনসার দায়িত্ব সহকারে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
কমান্ডার হাশেম তিনি আরো বলেন, মিরপুর বিআরটিএ ভিতরে কোন রকম প্রতারক চক্রকে অফিস চলাকালীন সময়ে ডোকতে দেয়া হয়না,তারপরেও যদি কোন দালাল কে পাওয়া যায়, তাকে নির্বাহী বিচার আওতাধীন করে জেল ও জরিমানা করা হয়। ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন ১১ জন দালালকে আমরা জেল দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয়ে চিরুনী অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ০৯ সদস্যকে ভিবিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে মিরপুর বিআরটিএ ভ্রাম্যমান আদালত-৬।
রবিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বিআরটিএ কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ দালাল সদস্যকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত দালালের পরিচয় জানা যায়, মোঃ আল আমিন (২৬), মো:টিপু সুলতান (২৮), তানজিল চৌধুরী (৫৩), মো: রাসেল (১৮)মো: জামাল (২৮), বুলবুল আহমেদ (২৬)মো: বাদশা( ২০), মো: আরিফুল ইসলাম (২৩), মনির হোসেন (৫০) দালালিতে জড়িত থাকার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত সাত জনকে দুই মাসের ও দুই জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমান আদালত ছয় এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার বলেন, ‘আটককৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদেরকে বিআরটিএ’র অধ্যাদেশ-১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় সাজা দেয়া হয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আনসার পিসি মোঃ আবুল হাসেম ও এপিসি মোঃ শহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে আনসার সদস্য সদ্য নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আরো জানান সাজা প্রাপ্ত দালালরা সাধারণ মানুষের কাজ থেকে কাজের কথা বলে মানুষকে হয়রানি ও টাকা -পয়সা নিয়ে গায়েব হয়ে যায়। এই অভিযানের সময় বিআরটিএ আনসার কমান্ডার হাশেমের নেতৃত্বে আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
এব্যাপারে আনসার কমান্ডার হাশেমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ৯ জনকে আটক করে এক মাসের মেয়াদে সাজা দিয়ে কাফরুল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আনসার বাহিনী জনগনের সেবক। জনগনকে সেবা দেয়াই তাদের মূল লক্ষ্য। এর বাহিরে যদি কোন আনসার দূর্নীতির সাথে জরিয়ে পরে আর তা যদি তদন্ত কালীন সময়ে আমার কাছে আসে আমি কঠিন ব্যবস্হা নিতে বাধ্য থাকিব।